সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের যিনি আমাদের জন্য দীন ইসলামকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। দুরূদ ও শান্তির অবিরাম ধারা বর্ষিত হোক নবীকুল শিরোমণি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এবং তাঁর পবিত্র বংশধর ও সম্মানিত অনুসারীদের উপর। দয়াময় আল্লাহ তাআলা সীমাহীন কৃপা ও দয়া মায়া করে মানবকূলকে সর্বোৎকৃষ্ট জীবন ধারায় চলার জন্য একমাত্র সঠিক এবং পূর্নাঙ্গ ধর্ম ইসলাম দান করেছেন।

দুনিয়ার সকল মানুষ চায় সুখ, শান্তি, সফলতা। চাই সে মুসলমান হোক, চাই সে খৃস্টান হোক, চাই সে ইয়াহুদী হোক ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবী চায়। আল্লাহ সুবহানাহু তাআলাও সকল মানুষকে সুখ, শান্তি ও সফলতা দিতে চান। কিন্তু কেন মানুষ সফলতা পাচ্ছে না? ইহার একমাত্র কারণ আল্লাহ যে পথে কামিয়াবী দিতে চান, মানুষ সে পথে কামিয়াবী হাসিল করতে চায় না, মানুষ সে পথ অবলম্বন করতে চায় না। মানুষ চায় ভিন্ন পথে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জণ করতে। তাই মানুষ শত চেষ্টা করেও দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াবী হাসিল করতে পারে না। হ্যাঁ, সেসব মহান ব্যক্তিরা যারা আল্লাহ তাআলার দেখান পথ অবলম্বন করে তাঁরা উভয় জাহানেই কামিয়াব হন।

প্রকৃত সফলতা কি? প্রকৃত সফলতা হচ্ছে মানুষের মনের আশা আকাঙ্খা পূরাপুরি পূরা হওয়া। প্রকৃত সফলতা সেটাই যে সফলতার ক্ষয় নেই, লয় নেই, ধ্বংস নেই, জিল্লতি নেই। অর্থাৎ যে সফলতা চিরঅটুট, চিরস্থায়ী সেটাই প্রকৃত সফলতা, আসল সফলতা। বাস্তবে মানুষের কোন আশাই দুনিয়াতে পূরাপুরি পুরা হতে পারে না। এটা সম্ভবও নয়। মনের আশা সম্পূর্ণ রূপে পূর্ণ হবে জান্নাতে। দুনিয়ার যত সফলতা আমরা দেখি সবই ক্ষণস্থায়ী। আজ যে সুস্থ, কাল সে অসুস্থ। আজ যে যুবক, কাল সে বৃদ্ধ। আজ যে কোটিপতি, কাল সে ফকির। আজ যে বাদশাহ, কাল সে প্রজা। জান্নাতিদের সফলতা আসল সফলতা। সেখানে মানুষ বৃদ্ধ হবে না, চির যৌবন থাকবে। অসুস্থ হবে না, চিরকাল সুস্থ থাকবে। মৃত্যু হবে না, চির দিন বেঁচে থাকবে। জান্নাতিদের সৌন্দর্য হবে হযরত ইউসুফ (আঃ) এর মত। কণ্ঠস্বর হবে হযরত দাউদ (আঃ) এর মত। আখলাখ হবে হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মত। আরও কত কি?

এই প্রকৃত সফলতা অর্জনের জন্য আল্লাহপাক মানুষের জীবন যাপনের জন্য এক বিধান রেখেছেন, আর তা হচ্ছে ইসলামিক জীবন বিধান বা দীন। একমাত্র ইসলামিক জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন যাপনের মধ্যেই আল্লাহ তাআলা উভয় জাহানে মানুষের সুখ, শান্তি ও কামিয়াবী রেখেছেন। অন্য কিছুর মধ্যে নয়। তাই উভয় জাহানের কামিয়াবীর জন্য ইসলামিক জীবন বিধান অনুযায়ী জীবন যাপন করতে হবে। যাকে বলা যেতে পারে পুর্নাঙ্গ ইসলামিক জীবন যাপন। মুসলমানের জিন্দেগী চব্বিশ ঘন্টা বন্দেগী। কোন মুসলমান যখন রাত-দিন চব্বিশ ঘন্টা তার সকল কাজ-কারবার আল্লাহপাকের হুকুম এবং নবী সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরিকা অনুযায়ী সম্পাদন করবে তখন তার সবটাই বন্দেগী হবে, আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য হবে।

ইসলাম একটি শান্তিময় জীবন ব্যবস্থা। নবী মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইন্তেকাল করার পূর্বেই আল্লাহ রব্বুল আলামীন এই দীনকে মুসলমানদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। একজন মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম পরিপূর্ন বিধান প্রদান করেছে। মানুষের জন্ম থেকে কবর পর্যন্ত এমন কোন কর্মকান্ড নেই যার দিকনির্দেশনা ইসলামে নেই।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ও সকল যুগের সব মানুষের জন্য উপযুক্ত জীবন ব্যবস্থা। আল্লাহ তাআলা মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে সৃষ্টি করে কোন পথে চললে মানুষের কল্যাণ হবে, আর কোন পথে চললে অকল্যাণ হবে তা অহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। সেই অহী তথা জীবন বিধানের নাম হচ্ছে ‘আল ইসলাম’ । মহান স্রষ্টা আল্লাহর বাণী ও হিদায়াত এবং সর্বশেষ রসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শিক্ষায় মানুষের জীবনে চলার কোনো বিষয়ই অনুপস্থিত নেই। মহাগ্রন্থ আল-কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হওয়ার পক্ষে সমর্থন ঘোষণা করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান অহী মারফত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাযিল করেছেন। অহির বিধানই একমাত্র চূড়ান্ত জীবন বিধান এবং তার মধ্যেই নিহিত রয়েছে সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান। আর এই অহির মাধ্যমে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশাতেই দীন-ইসলাম পূর্ণতা লাভ করেছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশায় ১০ম হিজরীর ০৯ যিলহজ্জ আরাফাতের ময়দানে ছাহাবায়ে কেরামকে নিয়ে যখন তিনি বিদায় হজ্জ পালন করেছিলেন তখন আল্লাহ তাআলা এই আয়াতটি অবতীর্ণ করেনঃ “আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার নেআ’মত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দীন হিসাবে মনোনীত করলাম”। - সুরা মায়েদা, আয়াতঃ ০৩।

আল্লাহ তাআলা আরও ফরমানঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকটে একমাত্র মনোনীত দীন হ’ল ইসলাম”। -সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯।

এ সমস্ত আয়াত প্রমাণ করে যে, রসূলুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবদ্দশাতেই অহির বিধানের মাধ্যমে দীন-ইসলাম পূর্ণতা লাভ করেছে, যাতে মানুষের সার্বিক জীবনের সকল দিক ও বিভাগ পূর্ণাঙ্গরূপে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেনঃ “আমি এই কিতাবে (কোরআনে) কোন বিষয়ই লিপিবদ্ধ করতে ছাড়িনি”। –সুরা আন’আম, আয়াতঃ ৩৮।

তিনি অন্যত্র ফরমানঃ “আর আমরা আপনার উপরে প্রত্যেক বিষয়ের স্পষ্ট ব্যাখ্যা স্বরূপ কিতাব (কোরআন) নাযিল করেছি”। –সুরা নাহল, আয়াতঃ ৮৯। অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, আমার উট বাঁধার একটি দড়িও যদি হারিয়ে যায়, তাহলে আমি তা আল্লাহর কিতাবের মধ্যে খুঁজে পাব।

অতএব, বুঝা গেল, মহান আল্লাহ কোরআনকে আমাদের নিকট পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে প্রেরণ করেছেন এবং তাকে বাস্তবে রূপদান করার জন্য মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী ও রসূল করে পাঠিয়েছেন। আর তিনিও আল্লাহ তাআলার বিধানের যথাযথ বাস্তবায়ন করেছেন। এক্ষেত্রে সামান্যতম ত্রুটি করেননি। যেমন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ ফরমানঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এমন কোন জিনিসই আমি (বর্ণনা করতে) ছাড়িনি। আর আমি তাঁর হুকুম তোমাদেরকে অবশ্যই দিয়েছি। আর আমি এমন কোন জিনিসই ছাড়িনি যা আল্লাহ তাআলা নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তোমাদেরকে তা অবশ্যই নিষেধ করেছি।

অতএব, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হওয়া সত্ত্বেও যারা ভাল কাজের দোহাই দিয়ে ইসলামের মধ্যে নতুন নতুন ইবাদতের জন্ম দিয়েছে ও তাকে লালন করছে প্রকারন্তরে তারা এটাই বুঝাতে চাচ্ছে যে, ইসলাম অপূর্ণাঙ্গ (নাউজুবিল্লাহ)। আর এরূপ বিশ্বাস আল্লাহ ও তাঁর রসূলের উপর মিথ্যারোপ করার শামিল। ইমাম মালেক (রহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি ইসলামের মধ্যে বিদ‘আত সৃষ্টি করল এবং তাকে উত্তম আমল মনে করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতের খিয়ানত করল।

কেননা আল্লাহ তাআলা বলেনঃ আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে (ইসলাম) পূর্ণাঙ্গ করলাম। –সুরা মায়েদা, আয়াতঃ ০৩ । সুতরাং সে যুগে (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ছাহাবায়ে কেরামের যুগ) যা দীন হিসাবে গণ্য ছিল না, বর্তমানেও তা দীন হিসাবে পরিগণিত হবে না।

সুতরাং বিশ্বাস, কথা ও কর্মে একমাত্র অহির বিধানের কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হবে। আল্লাহর বিধানের পরিপন্থি মানব রচিত কোন বিধানকে কখনোই অনুসরণ করা যাবে না। একমাত্র মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আনিত দীনের উপর চলতে হবে। আল্লাহপাক ইরশাদ ফরমানঃ তোমাদের মধ্যে যারা আল্লাহ ও আখেরাতকে ভয় করে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্য রসূলুল্লাহর মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। -সুরা আহযাব, আয়াতঃ ২১।

তিনি অন্যত্র বলেনঃ রসূল তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকেই ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। -সুরা হাশর, আয়াতঃ ০৭।

ইসলামী জীবনাদর্শের বুনিয়াদ হচ্ছে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ’। ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই। ঘোষণাটি হচ্ছে ইসলামী আকীদার প্রথম স্তম্ভ। এ অংশে আল্লাহ ছাড়া বন্দেগীর যোগ্য কেহ নেই -একথার স্বীকৃতি রয়েছে। ‘মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ’ অর্থাৎ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রসূল। ইহা ইসলামী আকীদা বা কালেমায়ে শাহাদাতের দ্বিতীয় অংশ। এ অংশে আল্লাহ তাআলার বন্দেগী করার জন্যে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ প্রদর্শিত পন্থাই সঠিক বলে মেনে নেয়া।

এ কালেমার উল্লেখিত দু’টো অংশই প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে বদ্ধমূল হতে হবে। কারণ, ঈমানের অপরাপর বিষয় ও ইসলামের পরবর্তী স্তম্ভগুলো এ ঘোষণারই পরিণতি। স্বাভাবিকভাবেই ফেরেশতা, আসমনী কিতাব, নবীগণ (আ), আখিরাত, তাকদীরের ভাল-মন্দ, মৃত্যুর পর পুনরুত্থান ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনয়ন এবং নামায, রোযা, যাকাত, হজ্জ, হালাল ও হারাম, ব্যবসা-বানিজ্য, লেনদেন, আইন-কানুন, আদেশ-উপদেশ, সামাজিক আচার-আচরণ ইত্যাদি সকল কাজকর্মই আল্লাহ তাআলার বন্দেগী হবে যখন তা আল্লাহপাকের হুকুম এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

মানব জীবনের সকল অবস্থায় অর্থাৎ তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সিরাত অনুসরণ এবং অনুকরণ করতে হবে। যেমন আল কোরআনে বলা হয়েছেঃ

রসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা তিনি নিষেধ করেছেন তা থেকে তোমরা বিরত থাক। -সুরা হাশর, আয়াতঃ ০৭।

আল্লাহ তাআলা মহা-গ্রন্থ কোরআনুল করীমে ইরশাদ করেনঃ আদেশ দেয়ার অধিকার একমাত্র আল্লাহর। তিনিই আদেশ করেছেন যে, তিনি ব্যতীত অন্য কারো বন্দেগী করা চলবে না। আর এটাই হচ্ছে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত জীবন বিধান। -সুরা ইউসুফ, আয়াতঃ ৪০।

ইসলাম কেবলমাত্র একটি ধর্মের নাম নয়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেনঃ আল্লাহর নিকট একমাত্র জীবন বিধান হচ্ছে আল ইসলাম। -সূরা আল ইময়ান, আয়াতঃ ১৯।

মানুষের ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক. রাজনৈতিক, আন্তর্জাতিক তথা মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ও বিভাগে আল ইসলামের সুষ্পষ্ট বিধান রয়েছে। রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই বিধানকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি একদিকে যেমন মসজিদের ইমাম ছিলেন, অন্যদিকে তেমনি ছিলেন রাষ্ট্রপতি, সেনাপতি. বিচারপতি। আল কোরআন ও আল হাদীসে ইসলামী জীবন বিধান সংরক্ষিত রয়েছে। যারা ইসলামকে জীবন বিধান হিসেবে গ্রহণ করে সেই বিধান অনূযায়ী জীবনযাপন করে তাদেরকে বলা হয় ‘মুসলিম’। একজন মুসলমান কখনো ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মত ও পথকে গ্রহণ করতে পারে না। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেনঃ তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের প্রতি যা কিছু নাযিল হয়েছে তা মেনে চলো, তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কারো অনুসরণ করো না। -সূরা আল আরাফ, আয়াত: ০৩।

পবিত্র কোরআনুল করীমে আল্লাহ তাআলা আরো ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন বিধান তালাশ করবে, তার কাছ থেকে তা মোটেই গ্রহণ করা হবে না, আর আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্হদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। -সূরা আল ইমরান, আয়াত: ৮৫।

সুতরাং প্রত্যেক মুসলমানের জন্য সে যে আমল বা কাজ করবে সে সম্পর্কে শরীআত কি বলে তা জানা অপরিহার্য। কারণ ইলম ব্যতীত আমল আল্লাহ তাআলার নিকট গ্রহণযোগ্য নয়।
শুচিবাই রোগ : সুচিকিৎসায় মুক্তি
ডা. মো. হারুনুর রশিদ
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

মানসিক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম সমস্যা হল obsessive compulsive disorder বা সুচিবাই রোগ। আমাদের দেশে লাখ লাখ মানুষ এ রোগে ভুগছেন। এ রোগে তাদের ও অন্যদের পারিবারিক, সামাজিক ও পেশাগত জীবন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই জানেন না এটি একটি মানসিক রোগ; মনোচিকিৎসার দরকার আছে। জানলেও মানসিক বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে চান না Stigma এর জন্য। এজন্য কালের আবর্তনে এ রোগ ভয়াবহরূপ ধারণ করে।

মানসিক রোগে চিকিৎসা হয় না, কেবল ঝঃরমসধ এর জন্য। আমি কি পাগল যে, মানসিক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে? সমাজ কি বলবে? একজন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস রোগীরা সুন্দরভাবে তার রোগকে প্রকাশ করতে পারেন, চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন, চিকিৎসা গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রিত সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন। কিন্তু একজন মানসিক রোগী ও তার পরিবার তা পারেন না। সঙ্গত কারণে তারা মনোবিশেষজ্ঞের কাছে না গিয়ে হাতুড়ে কবিরাজ, হাকিম, পীর ফকিরের পরামর্শ নিয়ে চলেন। এতে তাদের রোগ তো ভালো হয়ই না বরং দিনে দিনে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকে। মানসিক রোগীদের প্রতি অমানবিক আচরণ যেন না করি, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হই। শরীরে রোগে ভোগা যদি অন্যায় না হয় বলতে লজ্জা না হয়, তাহলে মানসিক রোগীদের প্রতি এ আচরণ কেন? দেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী মানসিক রোগে ভুগছেন, তিলে তিলে শেষ হচ্ছে তাও চিকিৎসা নিতে পারছেন না। হাতুড়ে, হেকিম, পীর, ফকিরের কাছে প্রতারিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করতে হবে।

OCD তে কী থাকে

একটি obsessive thought থাকে যা বার বার রোগীর মনে আসতে থাকে, রোগী বুঝতে পারে এটা অযৌক্তিক, সরাতে চেষ্টা করে বা বাধা প্রদান করে, ব্যর্থ হয় হতাশ হয় অস্থির হয়। দুইটি part আছে OCDতে একটা Obsession, অপরটি compulsion। compulsion হল obsessive thought দূর করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। content -এ কি কি থাকে

* Dirt & contamination

* Aggression

* Sex

* Religion

* Orderliness

* Illness.

Dirt & contamination

OCDতে রোগী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জীবাণু নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকে এবং বারবার হাত ধৌত করেন, বার বার গোসল করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন। প্রচুর সাবান ও পানি নষ্ট করে এজন্য তার স্বাভাবিক জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে পড়ে। পারিবারিক জীবন ব্যাহত হয়। অতিরিক্ত ধোয়া মোছার জন্য চর্মরোগেও আক্রান্ত হতে পারে। রোগী কাউকে তার গ্লাসে পানি খেতে দেন না। কেউ তার ঘরে ঢুকে পড়লে, বিছানায় বসলে বার বার এগুলো পরিষ্কার করতে থাকে। কিন্তু তারপর ও তার doubt বা সন্দেহ যায় না। তার মানে বিশ্বাস থেকেই যায়, এখনও ময়লা ঠিকভাবে যায়নি।

Aggression

রোগীর মাথায় চিন্তা আসতে থাকে কাউকে আঘাত করার, কাউকে Stab করে দেয়ার। রোগী বুঝতে পারে তার এ চিন্তা অস্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক। কিন্তু তারপরও এ চিন্তা মাথা থেকে সরাতে পারেন না, ব্যর্থ হন। যেমন- রোগীর সামনে একটি ছুরি আছে, রোগীর মাথায় বার বার এ চিন্তা আসতে থাকে, এ ছুরি দিয়ে বাচ্চাকে Stab করার, পরবর্তী সময় ভয়ে সে ছুরির সামনে যেতেই চান না। যদি সে Stab করে দেয়। একবার ভেবে দেখুন, কি ভয়াবহ ব্যাপারে রোগী আত্মদংশনে ভুগতে থাকেন, উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় ফেটে পড়েন। তার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।

Sex

OCD রোগীদের মাথায় Sex নিয়ে অশ্লীল আজে-বাজে চিন্তা আসে যা তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে Match তো করে না বরং উল্টো। যেমন- এক রোগীর মাথায় তার মা-মেয়ের যৌনাঙ্গ নিয়ে অশ্লীল চিন্তা আসতে থাকে। অশ্লীল ছবি ও আসতে থাকে। যে এটাকে অযৌক্তিক মনে করে সরানোর জন্য প্রাণ-পণ বাধা দেন। পারে না সরাতে এরপর হতাশ ও ব্যর্থ হয়। আত্মগ্লানি ও আত্মদংশনে মুষড়ে পড়ে। OCD রোগীর এ কারণে ১/৩ অংশ বিষণ্ণতায় ভোগেন, আত্মহত্যার চেষ্টা ও বিরল নয়।

Religion

ধর্মের বিরুদ্ধে, আল্লাহর বিরুদ্ধে অশ্লীল চিন্তা আসতে থাকে। যা তার সনাতন বিশ্বাসের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। সে জানে তার এ চিন্তা অযৌক্তিক, সরাতে চায়, পারে না। আত্মদহনে মরে যেতে চায়। সে ভাবে আমি নাস্তিক হয়ে গেছি। আমি নিশ্চিতভাবে নরকে যাব। কেবল ইসলাম নয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ও এটা সমস্যা হয়। এর থেকে নাস্তিকের তফাৎ হল নাস্তিক আত্মদহনে ভোগে না কোনো অনুশোচনা সে করে না। কিন্তু OCD রোগীদের এ ভয়াবহ অবস্থা চিকিৎসা ব্যতীত ভয়াল থেকে ভয়ালতর রূপ ধারণ করে।

Orderliness

OCD রোগী তাদের জিনিসপত্র তার স্টাইলে গুছিয়ে রাখে। এলোমেলো করলে তার মাথায় আগুন ধরে যায়, প্রচণ্ড অস্বস্তি লাগে। যতক্ষণ না তা পূর্বের অবস্থায় আনা না হয়। এরা এক বিশেষভাবে হাঁটে। এ থেকে ব্যতিক্রম হলে আবার প্রথম থেকে শুরু করেন। এটাকে বলে Sequence. Sequence নষ্ট হলেই এরা অস্থির হয়ে পড়েন, আবার নতুন করে শুরু করেন। টাকা Count করতে থাকে ১টা বিশেষ পদ্ধতিতে একটু হেরফের হলেই অস্বস্তিতে ভোগে, অস্থির হয়ে উঠে। একে বলে Counting Ritual সেসব বুঝলে ও এই বলয় থেকে বের হতে পারেন না।

রোগের কারণ

* Genetic বা বংশগত

* Environmental (পরিবেশগত) সাধারণত Stressful events এর পরে হয়।

* Neurostroctual মস্তিষ্কের গঠনগত কারণ। basal ganglia বড় হয়ে যায় Cortical atrophy বা মস্তিষ্কের Gray matter কমে যায়।

* Neuro chemical সেরোটনিন নামক neurotans metter এর problem হয়।

Medical cause

Basal ganglia lesion বাচ্চাদের গলায় Stepto coccal গলায় ইনেফেকশন হয়। আমরা জানি, আমাদের মস্তিষ্কে প্রতিমুহূর্তে অনেক চিন্তা ভাবনা আসে। আমাদের ব্রেইন প্রয়োজন অনুসারে এগুলোকে ফিল্টার করে থাকে। যখন চিন্তাগুলো সঠিকমতো ফিল্টারিং হয় না তখন মস্তিষ্কে যত চিন্তা আসে তাকে সরানো যায় না তার ফলে OCD বা সুচিবাই হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে কিছুদিন পূর্বে ও OCD কে Anxiety Disorder এর মধ্যে ধরা হতো। সাম্প্রতিককালে এটি কে anxiety disorder থেকে আলাদা করা হয়েছে।

অস্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব

দেখা যায় যাদের OCPD নামক অস্বাভাবিক ব্যক্তিত্ব থাকে তাদের ২০-৩৫% এর পরবর্তী সময় অবসেশন হয়।

অনেক কারণ আলোচনা করলাম, কিন্তু প্রকৃত কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এখন ও অজানা।

OCD

এর হার নারী পুরুষ প্রায় সমান। বয়স সাধারণত ২০-৩৫ বছরের মধ্যে হয়। ৩৫ এর পর OCD রোগ কমন না। বাচ্চাদের OCD তে obsessive thought তেমন থাকে না, কিন্তু Compulsion থাকে। বাচ্চাদের OCD diagnosis করা ও কঠিন।

চিকিৎসা

Psychological

Exposure and Response Prevention মানে রোগী ময়লায় হাত দেবে কিন্তু হাত ধুতে পারবে না। Thought Stopping চিন্তাকে আটকানোর চেষ্টা যখন চিন্তা আসবে। হাতে লাগানো রাবার ব্যান্ড টান দেবে।

Thought Satietation

অস্বাভাবিক চিন্তাকে খাতায় বার বার লেখা, চিন্তার কথাগুলো Record করে শোনা। যাতে সংবেদনশীলতা কমে যায়।

CBT

Congnitive behaviour Therapy রোগীদের চিন্তার ত্রুটিকে শনাক্ত করে দূর করার চেষ্টা Psychotherapy এর মাধ্যমে।

Relaxation Training বা শিথিলায়ন, মেডিটেশন।

Physical (ওষুধ)

TCA-Clomipramive (SSRI) Fluoxetine, Sertalline, Flvuoxamine উচ্চ ডোজে দেয়া হয়। TCA, SSRI. বা বিষণ্ণতা নাশক ওষুধ আস্তে আস্তে উচ্চমাত্রায় না দিলে Obession কমবে না।

Benzodiayepine স্বল্পকালীন সময় দেয়া যেতে পারে যা ৩ সপ্তাহের বেশি নয়। এটা মনের অস্থিরতা কমাবে।

Social (সামাজিক)

রোগীকে তার বয়স যোগ্যতা ও আগ্রহ অনুসারে একটু কম চাপের কোন পেশায় আত্মনিয়োগ করানো।

অন্যান্য চিকিৎসা DBS (Deep Brain Stimulation) Psychosurgery - Candate nucleus কেটে ফেলা।

ECT (Electro Convulsive Therapy) বৈদ্যুতিক চিকিৎসা। এটা সাধারণত Resistant OCD তে দেয়া যায়।

তবে নিজে নিজে চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা বিপজ্জনক। অবশ্যই একজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ব্যবস্থাপত্র নেবেন।

লেখক : মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ, সহকারী অধ্যাপক, ডেল্টা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর, ঢাকা

এক্সেলে কাজের পরিবেশ তৈরি করা।

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
চরপাতা ডিজিটাল পোষ্ট অফিস
গাছিরহাঠ চরপাতা
Bangladesh Post Office ICT Division
ICT Teacher : Faysal Ahmed



এক্সেলে কাজের পরিবেশ তৈরি করা – Excel 2007 Tutorial in Bangla – Part 02

Microsoft Excel 2007 এর স্প্রেডশিটে কাজ করতে চাইলে এক্সেলের কিছু ফিচার সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরী। যেমন: কুইক একসেস টুলবার কনফিগার করা, বিভিন্নভাবে পেজ ভিউ করা, রিবন মিনিমাইজ ও ম্যাক্সিমাইজ করা এবং এক্সেল অপশন কনফিগার করা ইত্যাদি।
যা শিখবো, তা এক নজরে-
এক্সেল ২০০৭ উইন্ডো পরিচিতি
এক্সেল প্রোগ্রাম নেভিগেট করার জন্য কমান্ডসমূহকে রিবনের ভেতর রাখা হয়েছে। পূর্বের এক্সেল ভার্সনগুলোতে কমান্ডসমূহ রিবনের পরিবর্তে মেন্যুতে রাখা হয়েছে।
মাইক্রোসফট এক্সেল ২০০৭ এর রিবনের উপর-বায়ের কোনায় মাইক্রোসফট অফিস বাটন রয়েছে। এখান থেকে প্রয়োজনীয় অপশনসমূহ (New, Save, Save As, Print, Publish, Close ইত্যাদি) একসেস করা যায়।
কুইক একসেস টুলবারটি অফিস বাটনের ডানে অবস্থান করে; যার মধ্যে ডিফল্ট অবস্থায় Save, Undo, Redo কমান্ডসমূহ রয়েছে।
স্প্রেডশিটের নিচের-বাম কোনায় ওয়ার্কশিট ট্যাব রয়েছে। সাধারণত ডিফল্ট অবস্থায় ৩টি ওয়ার্কশিট থাকে।
স্প্রেডশিটের নিচের-ডান কোনায় ওয়ার্কশিটের পেজকে বিভিন্নভাবে প্রদর্শনের জন্য কমান্ডসমূহ, জুম টুল এবং হরিজোন্টাল স্ক্রোলবার রয়েছে।

জুম ইন এবং আউট
উইন্ডোর নিচের-ডান কোনায় অবস্থিত Zoom Bar ড্রাগ করে কিংবা ধনাত্মক (+) ও ঋনাত্মক (-) সাইন মাউসের রাইট-ক্লিক করেও জুম ইন এবং আউট করা যায়।

ওয়ার্কশিট হরিজোন্টাল স্ক্রোল করা
উইন্ডোর নিচের-ডান কোনায় অবস্থিত স্ক্রোলবার বা ডান-বাম এ্যারো ক্লিক করে ওয়ার্কশিট হরিজোন্টালি স্ক্রোল করা যায়।

পেইজ ভিউ পরিবর্তন করা
এক্সেল উইন্ডোর নিচের-ডান কোনায় Page View অপশনটি লক্ষ্য করুন। এর অপশনগুলো হলো: Normal, Page Layout এবং Page Break। সাধারণত ডিফল্ট অবস্থায় Normal ভিউ অবস্থায় থাকে। কাজের প্রয়োজনে ভিউ পরিবর্তন করা যায়। নিচে বিভিন্ন অপশনের বর্ণনা করা হলো:
 Normal: ডিফল্ট অবস্থায় এই অপশন সিলেক্ট করা থাকে।
 Page Layout: পেজ লেআউট ভিউ প্রদর্শনের জন্য এই অপশন সিলেক্ট করতে হয়।
 Page Break: পেজ ব্রেক ভিউ প্রদর্শনের জন্য এই অপশন সিলেক্ট করতে হয়।

ওয়ার্কশিট যে ভিউয়ে প্রদর্শন করতে চান মাউস দ্বারা সেই অপশনের উপর ক্লিক করুন।
কুইক একসেস টুলবারে কমান্ড যুক্ত করা
 কুইক একসেস টুলবারের ডানের এ্যারো কী ক্লিক করুন।
 প্রয়োজনীয় কমান্ডের উপর ক্লিক করুন। লক্ষ্য করুন কুইক একসেস টুলবারে ক্লিক করা কমান্ডটি যুক্ত হয়েছে।

কুইক একসেস টুলবারে এক্সেলের যে কোন কমান্ড যুক্ত করা
 কুইক একসেস টুলবারের ডানের এ্যারো কী ক্লিক করুন।
 প্রদর্শিত মেন্যু হতে More কমান্ড ক্লিক করুন।

 এবারে প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্স হতে প্রয়োজনীয় কমান্ড সিলেক্ট করুন।
 অতপর Add বাটন ক্লিক করে Ok বাটন ক্লিক করুন।

নোট: প্রয়োজনে Remove বাটন ক্লিক করে কুইক একসেস টুলবার হতে কমান্ড বাদ দেয়া যাবে এবং Reset বাটন ক্লিক করে কুইক একসেস টুলবার ডিফল্ট অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যাবে।
রিবন মিনিমাইজ এবং ম্যাক্সিমাইজ করা
 কুইক একসেস টুলবারের ডানের এ্যারো কী ক্লিক করুন।
 প্রদর্শিত মেন্যু হতে Minimize the Ribbon ক্লিক করুন।

লক্ষ্য করুন, রিবনটি মিনিমাইজ হয়ে গেছে।
নোট: পুনরায় কুইক একসেস টুলবারের ডানের এ্যারো কী ক্লিক করে Minimize the Ribbon ক্লিক করলে ম্যাক্সিমাইজ হবে।
নোট: ট্যাববারের যে কোন ট্যাবের উপর মাউসের রাইট-ক্লিক করে Minimize the Ribbon ক্লিক করেও রিবন মিনিমাইজ এবং ম্যাক্সিমাইজ করা যাবে।
মাইক্রোসফট অফিস বাটন
Microsoft Office বাটন এক্সেল ২০০৭ উইন্ডোর উপরে-বাম কোনায় প্রদর্শিত থাকে। এ বাটনে ক্লিক করলে একটি মেন্যু প্রদর্শিত হবে। এ মেন্যু হতে নতুন ওয়ার্কবুক তৈরি, তৈরিকৃত ওয়ার্কবুক ওপেন করা, বিভিন্ন উপায়ে ফাইল সেভ করা, ফাইল বন্ধ করা, পাবলিশ করা এবং প্রিন্ট করা যায়।

ডিফল্ট এক্সেল অপশন পরিবর্তন করা
 Microsoft Office বাটন ক্লিক করুন।
 প্রদর্শিত মেন্যু হতে Excel Option ক্লিক করুন।
 ডায়ালগ বক্সের বাম দিক হতে প্রয়োজনীয় ক্যাটাগরী ক্লিক করুন।
 এবারে ডিফল্ট সেটিং পরিবর্তন করুন এবং Ok ক্লিক করুন।



Conditional Formatting দ্বারা খালি সেলসমূহ হাইলাইট করা – Excel 2016 Bangla Tutorial

Conditional Formatting দ্বারা খালি সেল হাইলাইট করা
এই টিউটোরিয়ালে Conditional Formatting ব্যবহার করে ফর্মূলার মাধ্যমে কিভাবে নির্বাচিত সেলগুলোর খালি সেল হাইলাইট করা যায় তা বর্ণিত হয়েছে।
নিচের ওয়ার্কশিটের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন। আপনি আপনার নিজের ওয়ার্কশিটও ব্যবহার করতে পারেন।

কন্ডিশনাল ফরমেটিং দ্বারা নির্বাচিত সেলের খালি সেলগুলো বের করার জন্য নিচের ফর্মূলাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
ফর্মূলা: =ISBLANK(B8)
যেভাবে কাজটি সম্পাদন করবেন:
 B8:H17 পর্যন্ত সিলেক্ট করুন।
 Home ট্যাবের Style প্যানেলের Conditional Formatting ক্লিক করে New Rule কমান্ড ক্লিক করুন।

 প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্স হতে Select a Rule Type হতে Use a formula to determine which cells to format ক্লিক করুন।
 এবারে Edit the Rule Description এর ঘরে নিচের ফর্মূলাটি টাইপ করুন =ISBLANK(B8)

 এবং Format ক্লিক করে Fomat Cells ডায়ালগ বক্সের Fill ট্যাব হতে প্রয়োজনীয় ফিল কালার সিলেক্ট করে Ok ক্লিক করুন।

 এবারে ওয়ার্কশিটের সিলেক্টকৃত ডাটাসমূহ লক্ষ্য করুন, খালি সেলগুলো লাল রঙের ফিল দ্বারা প্রদর্শিত হয়েছে।

নোট: ISBLANK ফাংশনটি তখনই কার্যকর হবে যখন সেল খালি থাকবে। কিন্তু যদি কোন সেলের মধ্যে ফর্মূলা থাকে এবং তার মধ্যে যদি খালি স্ট্রিং থাকে তবে তা খালি সেল হিসেবে প্রদর্শিত হবে না। সেক্ষেত্রে আপনি =LEN(B8)=0 ফর্মূলাটি ব্যবহার করতে পারেন।


Conditional Formatting – শর্ত সাপেক্ষে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা

শর্ত সাপেক্ষে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা
এই টিউটোরিয়ালে Conditional Formatting ব্যবহার করে ফর্মূলার মাধ্যমে কিভাবে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা যায় তা বর্ণিত হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে এক্ষেত্রে ৩টি ভেল্যু দেখানো হয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে AND ও SMALL এর সমন্বয়ে এ্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করা হয়েছে। ফর্মূলাটি হলো:
=AND($B8=$H$8,$F8<=SMALL(IF(CustName=$H$8,PurAmount),3))
ব্যাখ্যা: উপরের সূত্রে B8:B17 রেঞ্জকে CustName এবং F8:F17 রেঞ্জকে PurAmount দ্বারা ডিফাইন করা হয়েছে।
উপরোক্ত AND ফাংশনটিতে ২টি লজিক্যাল শর্ত রয়েছে। তার প্রথম লজিকটি খুবই সহজ যা H8 সেলে যে ভেল্যু রয়েছে তা CustName রেঞ্জের নামের সাথে ম্যাচিং নির্ধারণ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় লজিকটি বেশ জটিল। এটি একটি এ্যারে ফর্মূলা, যা সকল PurAmount এর ভেল্যু H8 সেলের ভেল্যুর সাথে সম্পৃক্ত তা ফিল্টার করে থাকে। এক্ষেত্রে ফিল্টারটি IF ফাংশন দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে।
উপরের চিত্রের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন। অতপর নিচের মত কার্য সম্পাদন করুন।
• B8:B17 রেঞ্জকে CustName এবং F8:F17 রেঞ্জকে PurAmount দ্বারা ডিফাইন করুন।
• H8 সেলে Karim লিখুন। কারণ এক্ষেত্রে Karim এর সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য বের করতে চাই।
• B8 থেকে F17 পর্যন্ত সিলেক্ট করুন।
• Home ট্যাবের Style প্যানেলের Conditional Formatting ক্লিক করে New Rule কমান্ড ক্লিক করুন।

• প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্স হতে Select a Rule Type হতে Use a formula to determine which cells to format ক্লিক করুন।

• এবারে Edit the Rule Description এর ঘরে নিচের ফর্মূলাটি টাইপ করুন =AND($B8=$H$8,$F8<=SMALL(IF(CustName=$H$8,PurAmount),3))
• এবং Format ক্লিক করে ফন্টের কালার লাল ও ফন্টের স্টাইল বোল্ড সম্পাদন করে Ok ক্লিক করুন।

• এবারে ওয়ার্কশিটের সিলেক্টকৃত ডাটাসমূহ লক্ষ্য করুন, Rahim নামক কাস্টমারের সর্বনিম্ন ৩টি ভেল্যু লাল রঙে প্রদর্শিত হয়েছে।

নোট: ফর্মূলাতে সবার শেষে ৩ ব্যবহার করা হয়েছে কারণ আমরা সর্বনিম্ন ৩টি ভেল্যু প্রদর্শন করাতে চেয়েছি। আপনি ইচ্ছে করলে ৪/৫/৬ ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ভেল্যু প্রদর্শন করাতে পারেন।

Conditional Formatting – শর্ত সাপেক্ষে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা

শর্ত সাপেক্ষে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা
এই টিউটোরিয়ালে Conditional Formatting ব্যবহার করে ফর্মূলার মাধ্যমে কিভাবে সর্বনিম্ন একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করা যায় তা বর্ণিত হয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে এক্ষেত্রে ৩টি ভেল্যু দেখানো হয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে একাধিক ভেল্যু হাইলাইট করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে AND ও SMALL এর সমন্বয়ে এ্যারে ফর্মূলা ব্যবহার করা হয়েছে। ফর্মূলাটি হলো:
=AND($B8=$H$8,$F8<=SMALL(IF(CustName=$H$8,PurAmount),3))
ব্যাখ্যা: উপরের সূত্রে B8:B17 রেঞ্জকে CustName এবং F8:F17 রেঞ্জকে PurAmount দ্বারা ডিফাইন করা হয়েছে।
উপরোক্ত AND ফাংশনটিতে ২টি লজিক্যাল শর্ত রয়েছে। তার প্রথম লজিকটি খুবই সহজ যা H8 সেলে যে ভেল্যু রয়েছে তা CustName রেঞ্জের নামের সাথে ম্যাচিং নির্ধারণ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় লজিকটি বেশ জটিল। এটি একটি এ্যারে ফর্মূলা, যা সকল PurAmount এর ভেল্যু H8 সেলের ভেল্যুর সাথে সম্পৃক্ত তা ফিল্টার করে থাকে। এক্ষেত্রে ফিল্টারটি IF ফাংশন দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে।
উপরের চিত্রের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন। অতপর নিচের মত কার্য সম্পাদন করুন।
• B8:B17 রেঞ্জকে CustName এবং F8:F17 রেঞ্জকে PurAmount দ্বারা ডিফাইন করুন।
• H8 সেলে Karim লিখুন। কারণ এক্ষেত্রে Karim এর সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য বের করতে চাই।
• B8 থেকে F17 পর্যন্ত সিলেক্ট করুন।
• Home ট্যাবের Style প্যানেলের Conditional Formatting ক্লিক করে New Rule কমান্ড ক্লিক করুন।

• প্রদর্শিত ডায়ালগ বক্স হতে Select a Rule Type হতে Use a formula to determine which cells to format ক্লিক করুন।

• এবারে Edit the Rule Description এর ঘরে নিচের ফর্মূলাটি টাইপ করুন =AND($B8=$H$8,$F8<=SMALL(IF(CustName=$H$8,PurAmount),3))
• এবং Format ক্লিক করে ফন্টের কালার লাল ও ফন্টের স্টাইল বোল্ড সম্পাদন করে Ok ক্লিক করুন।

• এবারে ওয়ার্কশিটের সিলেক্টকৃত ডাটাসমূহ লক্ষ্য করুন, Rahim নামক কাস্টমারের সর্বনিম্ন ৩টি ভেল্যু লাল রঙে প্রদর্শিত হয়েছে।

নোট: ফর্মূলাতে সবার শেষে ৩ ব্যবহার করা হয়েছে কারণ আমরা সর্বনিম্ন ৩টি ভেল্যু প্রদর্শন করাতে চেয়েছি। আপনি ইচ্ছে করলে ৪/৫/৬ ইত্যাদি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ভেল্যু প্রদর্শন করাতে পারেন।


Conditional Formatting এর নিয়ম তৈরি করা – Excel 2016 Bangla Tutorial
POSTED ON07/10/2018 Authorbanglatutorial

Conditional Formatting এর নিয়ম তৈরি করা

উপরের চিত্রে কন্ডিশনাল ফর্মেটিং এর জন্য নিয়ম তৈরি করার জন্য উদাহরণে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ-ওয়ান কম্পিউটার লিমিটেড এর বিক্রয় প্রতিনিধি অনুযায়ী বিক্রয় দেখানো হয়েছে। ধরুন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি মাসের বিক্রয়ের লক্ষ্য হলো ৫,০০০ টাকা।
কন্ডিশনাল ফর্মেটিং ব্যবহার করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ৫,০০০ টাকার উপরে বিক্রয়মূল্য বের করার জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
• C3 থেকে H18 পর্যন্ত সিলেক্ট করুন।
• Home ট্যাবের Style প্যানেলের Conditional Formatting কমান্ড ক্লিক করলে ড্রপ ডাউন লিস্ট প্রদর্শিত হবে।
• Highlight Cells Rules ক্লিক করে Greater Than… ক্লিক করুন।

• এবারে Format cells that are GREATER THAN: এর নিচের ঘরে 5000 এবং with এর ডানের ঘরের ড্রপ ডাউন ক্লিক করে প্রয়োজনীয় ফরমেট সিলেক্ট করুন। এক্ষেত্রে Light Red Fill with Dark Red Text নির্বাচন করেছি।
• অতপর Ok ক্লিক করুন।

এবারে চিত্রের ফলাফল লক্ষ্য করুন ৫০০০ এর উপরের সেলগুলো লাল কালারে চিহ্নিত হয়েছে।




কোন নির্দিষ্ট ভেল্যুর উপর মান বৃদ্ধি করা – Excel IF Function
POSTED ON05/10/2018 Authorbanglatutorial

কোন নির্দিষ্ট ভেল্যুর উপর মান বৃদ্ধি করা [Increase the value on a specific value] – Excel IF Function

উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। শুধুমাত্র Apple এর মূল্য ২০% বৃদ্ধি করার পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।
কিভাবে সূত্রটি সম্পাদন করবেন?
 উপরের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন।
 D4 সেলে সেল পয়েন্টার রাখুন।
 অতপর =IF(B4=”Apple”,C4*1.2,C4) টাইপ করে কীবোর্ডের Enter চাপুন।
 এবারে D4 সেলের ফিল হ্যান্ডেল ধরে D9 পর্যন্ত ড্রাগ করুন।
ফলাফল হিসেবে লক্ষ্য করুন, শুধুমাত্র Apple এর মূল্য ২০% বৃদ্ধি হয়েছে।

রেজিস্ট্রারের ব্যালেন্স চেক করা – Excel IF Function
POSTED ON05/10/2018 Authorbanglatutorial

রেজিস্ট্রারের ব্যালেন্স চেক করা [Check register balance] – Excel IF Function

উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। চিত্রে রেজিস্ট্রার ব্যালেন্স বের করার পদ্ধতি প্রদর্শিত হয়েছে।
রেজিস্ট্রার ব্যালেন্স বের করার জন্য ফর্মূলাটি হলো Balance থেকে Debit বাদ দিতে হবে, তারপর তার সাথে Credit যোগ করতে হবে। অর্থাৎ Balance-Debit+Credit
কিভাবে সূত্রটি সম্পাদন করবেন?
 উপরের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন।
 F5 সেলে সেল পয়েন্টার রাখুন।
 অতপর =F4-D5+E5 টাইপ করে কীবোর্ডের Enter চাপুন।
ফলাফল লক্ষ্য করুন।
নোট: যখন ক্রেডিট এবং ডেবিট কলাম খালি থাকবে তখন ব্যালেন্সের কলাম কোন কিছু প্রদর্শন না করাতে চাইলে তখন IF ফাংশনের সাথে AND এবং ISBLANK ব্যবহার করতে পারেন।
=IF(AND(ISBLANK(Debit),ISBLANK(Credit)),””,Balance-Debit+Credit)

খেলার টিমের জয়/পরাজয়/টাই রেজাল্ট বের করা – Excel IF Function
POSTED ON05/10/2018 Authorbanglatutorial

খেলার টিমের জয়/পরাজয়/টাই রেজাল্ট বের করা [Win loss points calculation] – Excel IF Function

উপরের চিত্রটি লক্ষ্য করুন। চিত্রে কিভাবে কোন টিমের জন্য পয়েন্ট বের করা যায় তা প্রদর্শন করা হয়েছে।
কিভাবে সূত্রটি সম্পাদন করবেন?
 উপরের মত ওয়ার্কশিট তৈরি করুন।
প্রথম পদ্ধতি:
 এ পদ্ধতিতে VLOOKUP ফাংশন ব্যবহার করে পয়েন্ট বের করে দেখানো হয়েছে।
 প্রথমে F5:G7 রেঞ্জকে point_table নাম দ্বারা ডিফাইন করুন।
 এবারে D5 সেলে সেল পয়েন্টার রেখে =VLOOKUP(C5,point_table,2,0) টাইপ করুন এবং Enter চাপুন।
 এবারে D5 সেলের ফিল হ্যান্ডেল ধরে D13 পর্যন্ত টানুন।
ফলাফল লক্ষ্য করুন।
দ্বিতীয় পদ্ধতি:
 এ পদ্ধতিতে IF ফাংশন ব্যবহার করে পয়েন্ট বের করে দেখানো হয়েছে।
 D5 সেলের ফর্মূলা ডিলিট করে দিন।
 এবারে D5 সেলে সেল পয়েন্টার রেখে =IF(C5=”Win”,3,IF(C5=”Loss”,0,IF(C5=”Tie”,1))) টাইপ করুন এবং Enter চাপুন।
 এবারে D5 সেলের ফিল হ্যান্ডেল ধরে D13 পর্যন্ত টানুন।


প্রশ্ন-১. কম্পিউটার কী? কম্পিউটার যন্ত্রাংশ গুলো কি কি?
উত্তর: কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক্স যন্ত্র। যাতে পূর্ব থেকে কিছু তথ্য দেয়া থাকে, যা ইনপুট ডিভাইস এর মাধ্যমে ইনপুটকৃত গাণিতিক ও যৌক্তিক ডাটা সমূহকে প্রসেসর দ্বারা প্রক্রিয়াকৃত সুনির্দিষ্ট আউটপুট প্রদান করে।
কম্পিউটার সংগঠনের অংশগুলো নিুরূপ-
র. ইনপুট ইউনিট:
▬▬▬▬▬▬
যে ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটারকে যাবতীয় তথ্য বা উপাত্ত প্রদান করা হয়, তাকে ইনপুট ইউনিট বলে। যেমন-
* কীবোর্ড;
* মাউস;
* স্ক্যানার;
* জয়স্টিক;
* লাইটপেন;
* ডিজিটাল ক্যামেরা;
* পাঞ্চকার্ড রিডার;
* অপটিকাল মার্ক রিডার;
* অপটিকাল ক্যারেকটার রিডার এবং
* পেপার টেপ রিডার।
মেমরি ইউনিট:
▬▬▬▬▬▬
যে ইউনিটে তথ্য সংরক্ষণ করা যায় এবং প্রয়োজনে উত্তোলন করা যায়, তাকে মেমরি ইউনিট বলে। যেমন-
* হার্ডডিস্ক;
* ফ্লপি ডিস্ক সিডি;
* ডিভিডি এবং
* ফ্ল্যাশ ড্রাইভ।
গাণিতিক ও যৌক্তিক ইউনিট:
▬▬▬▬▬▬
গাণিতিক ও যৌক্তিক ইউনিট যাবতীয় হিসাব যেমন: যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ ইত্যাদি কার্য সম্পন্ন করে।
নিয়ন্ত্রণ ইউনিট:
▬▬▬▬▬▬
এই অংশ কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।
আউটপুট ইউনিট:
▬▬▬▬▬▬
যে ইউনিটের মাধ্যমে কম্পিউটার যাবতীয় ফলাফল প্রদান করে, তাকে আউটপুট ইউনিট বলে।
যেমন-
* মনিটর;
* প্রিন্টার;
* ভিজ্যুয়াল ডিসপ্লে;
* ফিল্ম রেকর্ডার;
* ¯পীকার এবং
* মাইক্রোফোন।
প্রশ্ন-২. কম্পিউটারের কাজ লিখ।
উত্তর: কম্পিউটার নিম্নলিখিত ৪টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যথা-
* সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি প্রোগ্রাম কম্পিউটার গ্রহণ করে মেমরিতে সংরক্ষণ করে এবং
ব্যবহারকারীর নির্দেশে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্বাহ করে;
* ইনপুট ডিভাইস-এর মাধ্যমে ডাটা গ্রহণ করে;
* ডেটা প্রসেস করে এবং
* আউটপুট ডিভাইস-এর মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশ করে।
প্রশ্ন-৩. সিপিউ কে কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয় কে?
উত্তর: কম্পিউটারের সাংগঠনিক অংশগুলোর মধ্যে সিপিউ (সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারে কাজ করার সময় আমরা যে সব নির্দেশ দিয়ে থাকি সেগুলোর গাণিতিক বিশ্লেষণ, যুক্তিমূলক বিন্যাস, নিয়ন্ত্রণ এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষণ; এক কথায় যাবতীয় প্রক্রিয়াকরণের কাজ এই অংশে হয়ে থাকে। প্রাণির মস্তিস্ক যেমন যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দেহকে সচল রাখে, কম্পিউটার সিপিউ তেমনি যাবতীয় কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে কম্পিউটারকে কার্যউপযোগী রাখে। এজন্য সিপিউকে কম্পিউটারের মস্তিস্ক বলা হয়।
প্রশ্ন-৪. কম্পিউটারের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য লিখ।
উত্তর: নির্ভুলতা, দ্রুতগতি, সুক্ষতা, যুক্তিসংগত সিদ্ধান্ত, বহুমূখীতা, মেমরি, স্বয়ংক্রিয়তা এবং সহনশীলতা।
প্রশ্ন-৫. কম্পিউটারের মৌলিক সীমাবদ্ধতা কী ? কম্পিউটারের কি চিন্তা শক্তি আছে?
উত্তর: কম্পিউটার একটি যন্ত্র মাত্র। এর চিন্তা শক্তি নেই, নেই বুদ্ধিমত্তা বা বিচার বিশ্লেষণ এবং বিবেচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা।
প্রশ্ন-৬. বিভিন্ন প্রজন্মের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য সমূহ লিখ।
উত্তর: প্রথম প্রজন্ম (১৯৫১-১৯৫৯)
▬▬▬▬▬▬
* আকারে বড় বিধায় প্রচুর তাপ উৎপাদনকারী;
* মেমরি অত্যন্ত অল্প;
* ভ্যাকুয়াম টিউব দিয়ে তৈরি;
* মেমরি চৌম্বকীয় ড্রামের;
* কোড ব্যবহার করে প্রোগ্রাম চালানোর ব্যবস্থা;
* এই কম্পিউটারের যান্ত্রিক গোলযোগ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পাওয়ার খরচ বেশি এবং
* এই প্রজন্মের কম্পিউটারে যান্ত্রিক ভাষায় প্রোগ্রাম লিখা হত।
দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৯-১৯৬৫)
▬▬▬▬▬▬
* এটিতে মডিউল ডিজাইন ব্যবহার করে সার্কিটের প্রধান প্রধান অংশগুলো আলাদা বোর্ডে তৈরি করা যেত;
* অধিক নির্ভরশীল, অধিক ধারণক্ষমতা এবং তথ্য স্থানান্তরের সুবিধা;
* সাইজে ছোট, গতি বেশি এবং বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন কম;
* ট্রানজিস্টর দ্বারা তৈরি ও মেমরি চুম্বক কোরের এবং
* অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লিখা হত।
তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৫-১৯৭১)
▬▬▬▬▬▬
* বিভিন্ন প্রকার উন্নত মেমরি ব্যবস্থার উদ্ভাবন;
* ব্যাপক একীভূত বর্তনীর ব্যবহার;
* সাইজ ছোট বলে বিদ্যুৎ খরচ কম এবং
* উচ্চ ভাষা দিয়ে প্রোগ্রাম লিখা তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার থেকে শুরু হয়।
চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১- বর্তমান)
▬▬▬▬▬▬
* উন্নত চিপ এর ব্যবহার ও ক্ষুদ্রাকৃতির কম্পিউটার;
* বিশাল পরিমাণ মেমরি ও অত্যন্ত গতি এবং
* টেলিযোগাযোগ লাইন ব্যবহার করে ডাটা আদান-প্রদান।
পঞ্চম প্রজন্ম (ভবিষ্যৎ প্রজন্ম)
▬▬▬▬▬▬
* এই ধরণের কম্পিউটার প্রতি সেকেন্ডে ১০-১৫ কোটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
* শব্দের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে। ফলে এই প্রজন্মের কম্পিউটার শুনতে পারবে এবং কথা বলতে পারবে।
* এই প্রজন্মের কম্পিউটারের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থাকবে। ফলে কম্পিউটার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে তা সিদ্ধান্ত গ্রহণে
ব্যবহার করতে পারবে।
* ভিজুয়্যাল ইনপুট বা ছবি থেকে ডাটা গ্রহণ করতে পারবে।
প্রশ্ন-৭. অ্যাবাকাস কি?
উত্তর: অ্যাবাকাস হচ্ছে আড়াআড়ি তারে ছোট্ট গোলক বা পুঁতি লাগানো চারকোণা কাঠের একটি কাঠামো। এখনকার কম্পিউটারের মত অ্যাবাকাসও সংখ্যাকে সংকেত বা কোড হিসেবে বিবেচনা করে- কাঠামোতে তারের অবস্থান ও তারে পুঁতির উপস্থিতি সংকেত নিরূপন করে। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে ব্যাবিলনে এটি আবিস্কার হয় বলে ধারণা করা হয়। অ্যাবাকাস দিয়ে সাধারণত যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গ ও বর্গমূল নিরূপন করা যেত।
প্রশ্ন-৮. অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন কী?
উত্তর: চার্লস ব্যাবেজ ১৮৩৪ সালে যেকোন প্রকার হিসাবকার্যে সক্ষম এরূপ একটি হিসাব যন্ত্রের পরিকল্পনা শুরু করেন। যাতে প্রোগ্রাম নির্বাহ ও পাঞ্চকার্ডে হিসাবকার্যের নির্দেশসমূহকে সংরক্ষণের পরিকল্পনা ছিল। এই যন্ত্রটি অ্যানালিটিক্যাল
ইঞ্জিন নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-৯. চার্লস ব্যাবেজ কে? কেন তাকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়?
উত্তর: চার্লস ব্যাবেজ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক। তিনি ১৮৩৪ সালে আধুনিক কম্পিউটারের মত নিয়ন্ত্রণ অংশ, গাণিতিক ও যৌক্তিক অংশ, স্মৃতি অংশ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য সম্বলিত অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে একটি মেকানিক্যাল কম্পিউটারের পরিকল্পনা করেছিলেন। চার্লস ব্যাবেজের এই যন্ত্রটি আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বসূরি হয়ে
আছে বলে চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন-১০. কাকে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং কেন?
উত্তর: ইংরেজ কবি লড বায়রনের কন্যা অ্যাডা অগাস্টাকে প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয় । কারণ তিনিই আধুনিক কম্পিউটারের পূর্বসূরি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-এর জন্য প্রোগ্রাম রচনা করেন।
প্রশ্ন-১১. মেমরিতে রক্ষিত প্রোগ্রাম নির্বাহের ধারণা কে প্রদান করেন?
উত্তর: ১৯৪৫ সালে প্রখ্যাত গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান সর্বপ্রথম মেমরিতে রক্ষিত প্রোগ্রাম নির্বাহের ধারণা প্রদান করেন।
প্রশ্ন-১২. কম্পিউটার আবিস্কার করেন কে ? কেন তাকে কম্পিউটারের আবিস্কারক বলা হয়?
উত্তর: কম্পিউটার আবিস্কার করেন হাওয়ার্ড এইচ একিন। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও আইবিএম এর যৌথ উদ্যোগে এবং হাওয়ার্ড এইচ একিন-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৪৩ সালে মার্ক-১ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল কম্পিউটার নির্মিত হয়। এজন্য হাওয়ার্ড এইচ একিন কে কম্পিউটারের আবিস্কারক বলা হয়।
প্রশ্ন-১৩. কবে এবং কারা ট্রানজিস্টর তৈরি করেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালে আমেরিকার বেল ল্যাবরেটরিতে উইলিয়াম শকলে, জন বার্ডিন এবং এইচ ব্রিটেন সম্মিলিতভাবে ট্রানজিস্টর তৈরি করেন।
প্রশ্ন-১৪. আই.সি (ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট) তৈরি করেন কারা?
উত্তর: টেক্সাস ইন্সট্রুমেন্ট- এর জ্যাক কিলবি ও ফেয়ারচাইল্ড- এর রবার্ট নয়েস ১৯৫৮ সালে আইসি তৈরি করেন।
প্রশ্ন-১৫. কে এবং কবে মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করেন?
উত্তর: ড. টেড হফ ১৯৭১ সালে (প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর ইন্টেল- ৪০০৪) মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করেন।
প্রশ্ন-১৬. মাইক্রোকম্পিউটারের জনক কে? কেন তাকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়?
উত্তর: তড়িৎ প্রকৌশলী এইচ এডওয়ার্ড রবার্টসকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি ১৯৭৫ সালে অলটেয়ার-৮৮০ নামে প্রথম মাইক্রোকম্পিউটার তৈরি করেন। এজন্য তড়িৎ প্রকৌশলী এইচ এডওয়ার্ড রবার্টসকে মাইক্রোকম্পিউটারের জনক বলা হয়।
প্রশ্ন-১৮. আই.বি.এম (ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেসিন) পিসি তৈরি হয় কবে?
উত্তর: ১৯৮১ সালের ১২ আগস্ট থেকে বের হয় পার্সোনাল কম্পিউটার।
প্রশ্ন-১৯. মাইক্রোসফ্ট কবে এবং কারা প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৯৭৫ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়- এর ছাত্র বিল গেটস ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ওয়াশিংটন স্টেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পল অ্যালেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি-এর জন্য বেসিক প্রোগ্রাম লিখেন। পল অ্যালেন বিশ্ববিদ্যালয় শেষ করে ম্যাসচুস্টেস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজিতে যোগদান করলেও বিল গেটস সম্পূর্ণভাবে কম্পিউটার জগতে প্রবেশ করেন এবং ১৯৭৭ সালে মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন-২০. কবে এবং কারা অ্যাপল কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৯৭৬ সালে স্টিভ জবস ও স্টিফেন উযনিয়াক মিলে অ্যাপল-১ কম্পিউটার তৈরি করেন। এর পরবর্তী বছরই তারা অ্যাপল কম্পিউটার কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন-২১. ইন্টারনেটের জনক কে?
উত্তর: ইন্টারনেটের জনক ভিন্টন জি কার্ফ
প্রশ্ন-২৩. ই-মেইল (ইলেকট্রনিক মেইল) এর প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর: ১৯৭১ সালে রে টমলিনসন ই-মেইল এর প্রবর্তন করেন।
প্রশ্ন-২৪.জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের প্রতিষ্ঠাতা কারা?
উত্তর: ১৯৯৪ সালে সার্গেই ব্রিন ও ল্যারি পেজ জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন-২৫. জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক- এর প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেইসবুক- এর প্রতিষ্ঠা করেন মার্ক জুকারবাগ
প্রশ্ন-২৬. সফ্টওয়্যার কি ও কত প্রকার?
উত্তর: কোন সমস্যা সমাধানের জন্য ধারাবাহিক নির্দেশাবলির সমষ্টিকে সফ্টওয়্যার বলে।
সফ্টওয়্যার প্রধানত দুই প্রকার:
* সিস্টেম সফ্টওয়্যার (যেমন: অপারেটিং সিস্টেম) এবং
* অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার (যেমন: মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড)।
প্রশ্ন-২৭. ফার্মওয়্যার কি ?
উত্তর: কম্পিউটারকে প্রাথমিকভাবে পরিচালনার জন্য রম-এ স্থায়ীভাবে কিছু তথ্য জমা থাকে, এই তথ্যগুলোকে ফার্মওয়্যার বলে।
প্রশ্ন-২৮. অপারেটিং সিস্টেম কী?
উত্তর: কম্পিউটারের নিজের নিয়ন্ত্রণের জন্য যে প্রোগ্রাম ব্যবহৃত হয় তাকে অপারেটিং সিস্টেম বলে।
যেমন- উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা এবং লিনাক্স।
প্রশ্ন-২৯. মাল্টিমিডিয়া কাকে বলে?
উত্তর: কোন বিষয়কে উপস্থাপনের জন্য টেক্সট, অ্যানিমেশন, অডিও এবং ভিডিও এর সমন্বিত রূপকে মাল্টিমিডিয়া বলে।
প্রশ্ন-৩০. কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কাকে বলে?
উত্তর: ডাটা বা রিসোর্স শেয়ার করার উদ্দেশ্যে দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের সংযুক্তিকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলে।
প্রশ্ন-৩১. ইন্টারনেট কী?
উত্তর: দুই বা ততোধিক ভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড-এর নেটওয়ার্ককে মধ্যবর্তী সিস্টেম (যেমন: গেটওয়ে, রাউটার)-এর মাধ্যমে
আন্ত-সংর্যুক্ত করে যে মিশ্র প্রকৃতির নেটওয়ার্কের ডিজাইন করা হয়, তাকে ইন্টারনেট বলে।
প্রশ্ন-৩২. ই-মেইল কী?
উত্তর: ইলেকট্রনিক মেইল এর সংক্ষিপ্ত রূপ ই-মেইল। ই-মেইল এর সাহায্যে ইন্টারনেট ব্যবহার করে দ্রুতগতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। যেখানে সাধারণ ডাকযোগে চিঠি প্রেরণে কয়েকদিন সময় লাগে; সেখানে ই-মেইল এর সাহায্যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
প্রশ্ন-৩৩. বাংলাদেশে কত সালে এবং কোথায় প্রথম কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?
উ: ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে।
প্রশ্ন-৩৪. বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা কবে চালু হয়?
উত্তর: বাংলাদেশে অনলাইন ইন্টারনেট সেবা চালু হয় ১৯৯৬ সালের ৪ জুন।
প্রশ্ন-৩৫. কম্পিউটার ভাইরাস কী?
উত্তর: VIRUS এর পূর্ণনাম Vital Information Resource Under Seize । কম্পিউটার ভাইরাস হচ্ছে এক ধরনের অনিষ্টকারী প্রোগ্রাম। ইহা কম্পিউটারের স্বাভাবিক প্রোগ্রামগুলোর কাজে বিঘœ ঘটায়। ১৯৮৮ সালে ফ্রাইড কোহেন কম্পিউটার ভাইরাস শনাক্ত করেন।
সংগ্রহীত